মহেশখালীর নিখোঁজ সেই গৃহবধূর লাশ মিললো শ্বশুরবাড়ির উঠানের গর্তে

বিশেষ প্রতিবেদক
কক্সবাজার ভিশন ডটকম
অবশেষে পাঁচদিন পর মহেশখালীর নিখোঁজ সেই গৃহবধূ আফরোজার খোঁজ মিলেছে। তবে জীবিত নয়, পাওয়া গেছে লাশ।
শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে স্বামী রাকিব হাসান বাপ্পীর বাড়ির উঠানেই পুঁতে রাখা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গৃহবধূ আফরোজার বড় ভাই মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল থেকে এই তথ্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
কালারমারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইনচার্জ) জহির উদ্দীনের নেতৃত্বে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে। ঘটনাস্থলে গেছেন সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি সার্কেল) ও মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
সুত্র মতে, উত্তর নলবিলার আওয়ামী লীগ নেতা হাসান বশিরের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে বদরখালী কলেজের প্রভাষক রাকিব হাসান বাপ্পীর সাথে হোয়ানক পুঁইছড়ার মো. ইসহাকের মেয়ে আফরোজা বেগমের প্রায় ৯ মাস আগে বিয়ে হয়। এটি দুইজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। এদের মধ্যে আফরোজার স্বামী মারা যান এবং বাপ্পী প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেন। কিন্তু আফরোজার সাথে বিয়ের পর তালাক দেয়া স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ শুরু করে বাপ্পী। এ নিয়ে দাম্পত্য কলহ শুরু হয় এবং প্রায়ই সময় আফরোজাকে অমানুষিক নির্যাতন করতো রাকিব হাসান বাপ্পী। এ নিয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে।
এরই মধ্যে ১২ অক্টোবর নিখোঁজ হন গৃহবধূ আফরোজা বেগম। কিন্তু তার নিখোঁজের সাথে সাথে পালিয়ে যান স্বামী রাকিব হাসান বাপ্পী। এরপর থেকে আফরোজার পরিবারের লোকজন বিভিন্নভাবে খোঁজ শুরু করে। কিন্তু তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
মহেশখালী থানার ওসি কালারমারছড়া ফাঁড়ি পুলিশকে দায়িত্ব দিলেও তারা অবহেলা করেছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন আফরোজার বড় ভাই মিজান। এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে বাপ্পীর ভগ্নিপতি শহীদুল ইসলাম কাজল বেশ দৌঁড়াদৌঁড়ি করেছেন। তিনি ফাঁড়ির পুলিশকে ম্যানেজ করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন মিজান।
গত শুক্রবার কয়েকজন লোক নিয়ে খোঁজ করতে গেলে ফাঁড়ির কনস্টেবল হাসান মিজানকে পিস্তল ধরে ভয়ভীতি দেখান বলে দাবি করেন মিজান।
এই হত্যার সাথে বাপ্পীর মা রোকেয়া হাসানসহ পরিবারের লোকজন জড়িত বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।