চকরিয়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
কাউন্সিলর রেজাউলকে হত্যাচেষ্টায় ইন্ধন দিয়েছে আ.লীগ নেতারাই!

ছোটন কান্তি নাথ, চকরিয়া
কক্সবাজার ভিশন ডটকম
কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল করিমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত বিএনপি নেতা কফিল উদ্দিনসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মী ও এলাকাবাসি।
একইসাথে ‘বিএনপি ক্যাডার’ দিয়ে এই হত্যাচেষ্টার ঘটনায় নিজ দল আওয়ামী লীগের মধ্যে কারা ইন্ধন দিয়েছেন তাদেরকেও খুঁজে বের করার দাবি জানানো হয় কর্মসূচীতে।
আজ মঙ্গলবার (২১ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া পৌরশহর চিরিঙ্গায় এই কর্মসূচী নিয়ে মাঠে নামে দলের নেতাকর্মীসহ শত শত নারী-পুরুষ।
এদিকে ঢাকার পদ্মা জেনারেল হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচার শেষে মঙ্গলবার দুপুরে নিজ বাড়িতে ফেরেন হত্যাচেষ্টার শিকার পৌর কাউন্সিলর ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম। এ সময় তাকে দেখতে যান কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম, পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরীর নেতৃত্বে সকল কাউন্সিলর ও পৌর সচিবসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই জুমার নামাজের পরপরই একই ওয়ার্ড বিএনপি যুব বিষয়ক সম্পাদক কফিল উদ্দিন বাহাদুর প্রকাশ্যে ধারালো কিরিচ নিয়ে হামলে পড়ে কাউন্সিলর রেজাউলের ওপর। এ সময় উপর্যোপরি কিরিচের কোপ প্রতিহত করতে গিয়ে রেজাউলের ডান হাত বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম হয়। হামলা থেকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন রেজাউলের ভাইপো সাইদুল হক মিঠুও। এ সময় স্থানীয় ক্ষুদ্ধ জনতা এগিয়ে গিয়ে হামলাকারী বিএনপি নেতা কফিলকে ‘গণধোলাই’ দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হত্যাচেষ্টার শিকার পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমত এবং জনগণের দোয়া থাকায় আমি প্রাণে বেঁচে আছি। মূলত সেদিন আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যেই বিএনপির ওই ক্যাডার হামলা চালিয়েছে। আর তাকে (কফিল) আমার দলের স্থানীয় একাধিক নেতা আগে থেকেই ইন্ধন দিয়ে আসছিল আমাকে হত্যা করতে। এমনকি দলের মধ্যে আমার প্রতিদ্বন্ধিরা বিএনপি ক্যাডার কফিলকে খুশি করতে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাও পাইয়ে দেয়।’
কাউন্সিলর রেজাউল বলেন, ‘বিএনপি ক্যাডার কফিলকে রিমা-ে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলেই বেরিয়ে আসবে কারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালাতে ইন্ধন দিয়েছে।’
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান কক্সবাজার ভিশন ডটকমকে বলেন, ‘প্রকাশ্যে এই হামলার ঘটনার মূলহোতা কফিলসহ এজাহারনামীয় চার আসামীর মধ্যে তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অন্য আসামীকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।’