দ্বিতীয়বার ‘বিপিএম’ পদক গ্রহণ করলেন এসপি মাসুদ হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজার ভিশন ডটকম
‘সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ অবদান, দৃষ্টান্তমূলক সেবা’র স্বীকৃতি হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো পুলিশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় বিপিএম (বাংলাদেশ পুলিশ পদক) পেয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন।
‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে রোববার (৫ জানুয়ারি) সকালে ৫-১০ জানুয়ারি জাতীয় পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিনে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ সদর দপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে পদকপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের এই পরিয়ে দেন।
এবার কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনসহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ এই পদক পেয়েছেন ১১৮ জন পুলিশ কর্মকর্তা।
সুত্র মতে, দ্বিতীয়বারের মতো কৃতিত্বপূর্ণ বিপিএম পদকপ্রাপ্তির মাধ্যমে এবিএম মাসুদ হোসেন তাঁর নামের শেষে (বার) শব্দটি লিখবেন। ‘বার’ শব্দটির মাধ্যমে একাধিকবার বিপিএম পদকপ্রাপ্তির বিষয়টি বুঝানো হবে।
বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে একমাত্র কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনই বিপিএম পদকের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন। অবশিষ্ট ৬৩ জেলার কোন পুলিশ সুপারই এবার বিপিএম কিংবা পিপিএম পদকের জন্য মনোনয়ন পাননি।
অপরাধ দমন ও পুলিশিং অপারেশনে ব্যাপক সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ বিপিএম সেবা ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে এবারও জাতীয় এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
সুত্র মতে, পদকপ্রাপ্তরা রাষ্ট্রীয় আর্থিক সুবিধা এবং প্রাপ্ত উপাধি নিজ নিজ নামের শেষে ব্যবহার করতে পারবেন। পদোন্নতি ও প্রাইজ পোস্টিংয়ে এই পদক গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হয়।
এসপি মাসুদ হোসেন কক্সবাজারে যোগদানের মাত্র ১৫ মাসের মধ্যে ২টি জাতীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ পদকপ্রাপ্তি ও ৪টি আইজিপি পদকপ্রাপ্তির সৌভাগ্য অর্জন করলেন।
অনুষ্ঠানে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ১৪ পুলিশ সদস্যকে বিপিএম ও ২০ জনকে পিপিএম পদক দেয়া হয়। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২৮ পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ এবং ৫৬ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা’ পড়িয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।
কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন সংবাদমাধ্যমকে জানান, এই অর্জন শুধুমাত্র জেলা পুলিশ বিভাগের জন্য নয়, পুরো কক্সবাজার জেলাবাসীর জন্য এটা বিরাট সম্মান ও মর্যাদার বিষয়।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন পরপর দ্বিতীয়বারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ পদক পাওয়ায় ঢাকা থেকে রোববার (৫ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের তাঁর প্রতিক্রিয়ায় মহান আল্লাহতায়ালার অশেষ শুকরিয়া আদায় করেন। তিনি বলেন, আমাকে আবারো এই পদক প্রদান করায় কক্সবাজার জেলা পুলিশের অসীম ত্যাগ, সাহস ও ঝুঁকিপূর্ণ কর্মের যথার্থ মূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে কক্সবাজার জেলা পুলিশের সকল সদস্যের কাজের গতি, সাহস ও উৎসাহ আরো বাড়বে বলেও মনে করেন এসপি মাসুদ হোসেন।
তিনি এই গৌরবময় সম্মাননার জন্য মনোনীত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এমপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি, প্রশাসন) ড. মঈনুর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, পুলিশ সদর দপ্তরের সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।