কক্সবাজার জেলা শহরে ব্যাপকহারে বাড়ছে নারী মাদকসেবিদের সংখ্যা। অন্যান্য সংস্থা কিংবা এনজিওতে চাকরির সুবাদে বাড়ি থেকে বের হয় এসকল ওঠতি বয়সের নারীরা। পরে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প কিংবা সংশ্লিষ্ট অফিসে কর্মজীবন পার করলেও সন্ধ্যা নামার পরপরই ভিড় জমায় পর্যটন এলাকার বিলাসবহুল ‘মদের বার’ গুলোতে। গভীর রাত পর্যন্ত নিজ পেশার বস কিংবা অন্য পেশার বিত্তশালীদের সাথে মদ্যপান শেষে শুরু করে মাতলামি। পাশাপাশি অর্থের লোভের সম্মুখীন হয়ে অনেক সময় মদের বোতল নিয়ে হরদম জলসার আসরে বসেন আবাসিক হোটেল কক্ষে। এই নারীদের মধ্যে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আলোচিত এক ওঠতি বয়সের নারী হলো শহরতলীর লিংক রোড এলাকার জেনিনা সাত্তার মুন্নি। চাকরি করে হলিডে মোড় এলাকার একটি সংস্থায়।
সূত্র মতে, এই নারী হরেক রকম বিত্তশালীদের সঙ্গে প্রায় সময় মদ্যপান করে মাতলামির পাশাপাশি অশ্লীল কাজে মেতে ওঠে। এছাড়াও মদ্যপানের স্টিল ছবি ও ভিডিও বর্তমানে অনেক বিত্তশালী ও স্থানীয় যুবকদের কাছে শোভা পাচ্ছে।
মদ্যপান, মাতলামি ও অশ্লীল কর্মকান্ডের ব্যাপারে প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় জেনিনা সাত্তার মুন্নির। মুন্নি বলেন, মদ খেয়ে মাতলামি করবে এটি স্বাভাবিক। তাছাড়া আমার বয়স ১৮ বছরের উপরে। আমি (মুন্নি) এখন স্বাধীন। মদপান এবং রাতে আড্ডাবাজি ব্যক্তিগত বিষয়। এই ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলার অধিকার কারো নেই।
মদ খাওয়ার লাইসেন্স আছে কিনা জানতে চাইলে মুন্নি বলেন, নাই, তবে করে নেব। লাইসেন্স ছাড়া আমাকে (মুন্নি) কেন মদ বিক্রি করে এটা যারা মদের বার চালায় তাদের জিজ্ঞেস করেন।
তবে জেনিনা সাত্তার মুন্নির পক্ষে ছাফাই গাইতে হবু স্বামী পরিচয়ে ফোন করেন ঢাকার গুলশান-১ এলাকার বিজ্ঞাপনী সংস্থা কেরিবি ইন কর্পোরেশন সত্ত্বাধিকারি বিশাল চৌধুরী। তিনি প্রথমে প্রতিবেদককে নয় থেকে নব্বই বুঝানোর চেষ্টা করেন। পরে প্রতিবেদক স্ত্রীর মদ্যপানের লাইসেন্সসহ নানা বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমে স্বামীর পথ থেকে সরে যান তিনি। পরে মেয়েরা মায়ের জাত হিসেবে আঙ্খা দিয়ে এইসব বিষয় মিডিয়ায় না এনে ক্ষমা করার অনুরোধ জানান।
শহরের পর্যটন এলাকার মোহাম্মদ মাসুদ করিম নামের এক বার ম্যানেজার বলেন, এই তরুণী একেক সময় একেক বিত্তশালীদের সাথে নিয়ে আসেন। তাদের সম্মানে ঝামেলায় না গিয়ে চাহিদা মতো বিক্রি করি। তবে খাওয়ার পর যা করে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এনজিও কর্মকর্তা বলেন, মুন্নির কারণে কক্সবাজারের আরো অহরহ মেয়ে মাদকসেবীদের কাতারে যাচ্ছে। কিন্তু কি বলব। তার দুই ভাইও রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংশ্লিষ্ট দুইটি সংস্থায় কাজ করে। তৎমধ্যে একজন মুন্না। অপরজন সাগর। বোনের এই অশ্লীল কর্মকান্ড অবশ্যই তারা জানে। মূলতঃ টাকার ভুত মাথায় ঢোকার কারণে এবং সহজে বিত্তশালী হওয়ার জন্য নিজের ভবিষ্যত নষ্ট করে দিচ্ছে।
এদিকে অনেকের মতে, জেনিনা সাত্তার মুন্নির মতো কক্সবাজার জেলার আরো একাধিক ওঠতি বয়সের তরুণী বর্তমানে চাকুরির পেছনে দৌঁড়াতে গিয়ে হরদম মাদক সেবনে লিপ্ত হচ্ছে। পাশাপাশি নানা অপকর্ম করে সুন্দর ভবিষ্যত নষ্ট করছে।
এ বিষয়ে ইমাম আলমগীর হোছাইন বলেন, মুসলমান হিসেবে নারীদের যেভাবে জীবনযাপন করা দরকার বর্তমানে তার শতকরা ৫ ভাগও আশা করা যাচ্ছে না। একজন নারী মদের বারে গিয়ে মদ্যপান করে মাতলামি করবে এটা জঘণ্য। তার জন্য ইহকাল পরকাল দুইটায় শেষ। তবে কক্সবাজারে এই রকম পরিবারের মেয়ে আছে এটা শুনতেই অবাক লাগে।
এদিকে লাইসেন্সবিহীন অহরহ যুবক ও তরুণীরা বর্তমানে মদের বারে গিয়ে হরদম মদ্যপান করার ব্যাপারে কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সুমেন মন্ডলকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
তবে ওই অফিস সূত্র মতে, লাইসেন্সবিহীন মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে প্রায় সময় অভিযান চলে। এই অভিযান দ্রুত সময়ে আরও জোরদার করা হবে।
সূত্রঃ দিন প্রতিদিন।
Source URL: https://www.coxsbazarvision.com/archives/54547.php
© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কক্সবাজার ভিশন
হোটেল নিরিবিলি (নিচতলা), কক্ষ নং- ১০৪, শহীদ সরণী, কক্সবাজার
মোবাইল: ০১৬১৮-৮০০১০০, ০১৯১৮-৮০০১০০ । ইমেইল: coxsbazarvision@gmail.com, ansar.cox@gmail.com