গভীর রাতে মুক্তি পেলেন সেই জাহলাম

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৯ ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ

গভীর রাতে মুক্তি পেলেন সেই জাহলাম

গভীর রাতে মুক্তি পেলেন সেই জাহলাম
দুদকের দায়ের করা এক অর্থ জালিয়াতি মামলায় বিনা অপরাধে তিন বছর ধরে জেলখাটা জাহলাম অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন।

রবিবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

কাশিমপুর কারাগারের পার্ট-২ এর জেলার তরিকুল ইসলাম জানান, রবিবার রাত ১ টার দিকে জাহালাম কারাগার থেকে মুক্তি পায় জাহলাম।

রবিবার আদালত আজকের দিনের মধ্যেই সোনালী ব্যাংকের অর্থ জালিয়াতির মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত বলেন, কোনো নির্দোষ ব্যক্তিকে এক মিনিটও কারাগারে রাখার পক্ষে আমরা নই। এ ভুল তদন্তে কোনো সিন্ডিকেট জড়িত কী না, তা চিহ্নিত করে আদালতকে জানাতে হবে। না হলে আদালত এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে। এরকম ভুলের দায় দুদক কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।

বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে আবু সালেক নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা করে দুদক। কিন্তু দুদকের ভুলে সালেকের বদলে তিন বছর কারাগারে কাটাতে হয়েছে টাঙ্গাইলের জাহালমকে।

গত ৩০ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি সেদিন বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত। পরে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। জাহালমের আটকাদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয় রুলে।

সেই সঙ্গে ‘ভুল আসামির’ কারাগারে থাকার ব্যাখ্যা জানতে দুদক চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, মামলার বাদী দুদক কর্মকর্তা, স্বরাষ্ট্র সচিবের প্রতিনিধি ও আইন সচিবের প্রতিনিধিকে তলব করেন হাইকোর্ট। সে অনুযায়ী দুদক চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি হিসেবে দুদকের মহাপরিচালক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান, মামলার বাদী আবদুল্লাহ আল জাহিদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব সৈয়দ বেলাল হোসেন এবং আইন সচিবের প্রতিনিধি সৈয়দ মুশফিকুল ইসলাম রোববার সকালে আদালতে হাজির হন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর ছিলেন জাহালমের বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনা আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত।

শুনানির শুরুতে খুরশীদ আলম খান বলেন, সোনালী ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তথ্য পাওয়ার পর দুদক আবু সালেকের বিরুদ্ধে মামলা করে। দুদক কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল জাহিদ মামলার অনুসন্ধান করেন। তার অভিযোগপত্রে জাহালমের নাম উঠে আসে। টাঙ্গাইলের স্থানীয় চেয়ারম্যানরা জাহালমকে শনাক্ত করেন।

Source URL: https://www.coxsbazarvision.com/archives/53316

সম্পাদক ও প্রকাশক : আনছার হোসেন

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কক্সবাজার ভিশন
হোটেল নিরিবিলি (নিচতলা), কক্ষ নং- ১০৪, শহীদ সরণী, কক্সবাজার
মোবাইল: ০১৬১৮-৮০০১০০, ০১৯১৮-৮০০১০০ । ইমেইল: coxsbazarvision@gmail.com, ansar.cox@gmail.com